পর্যটন শিল্প
আশা-নিরাশার দোলাচলে রাঙামাটির উদ্যোক্তারা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
৩০-০৩-২০২৫ ০৪:০৫:২০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
৩০-০৩-২০২৫ ০৪:০৫:২০ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
রাঙামাটিতে অপরিকল্পিত পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্থাপনা নির্মাণ রোধ ও দুর্ঘটনা এড়াতে নির্দেশনা জারি করেছে জেলা পরিষদ। কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপে আশা-নিরাশার দোলাচলে ভুগছেন উদ্যোক্তারা। হ্রদের নীল জলরাশি, সবুজ পাহাড়, আর আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। প্রকৃতির এমন রূপের টানে রাঙামাটিতে ছুটে আসেন পর্যটকরা। ফলে বিগত ৫ থেকে ৭ বছরে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের হাত ধরে বদলে যেতে শুরু করেছে এই জেলার পর্যটন খাত। গড়ে উঠছে নতুন নতুন রিসোর্ট, কটেজ।
এতে যেমন দেখা দিয়েছে সম্ভাবনা, তেমনি বেড়েছে শঙ্কাও। প্রকৃতি ও পবিবেশকে তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে স্থাপনা, যাতে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সম্প্রতি সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।
এমন বাস্তবতায় হস্তান্তরিত বিভাগ হিসেবে আদেশ জারি করেছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ অনুযায়ী জেলা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না-- এমন নির্দেশনায় আশা-নিরাশার দোলাচলে উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের মতামত নেয়ার সুযোগ থাকলে অনেক ভালো হবে।
পর্যটন খাতে শৃঙ্খলা, পরিবেশ, স্থানীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করতে এই আদেশ বলে জানিয়েছেন পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।
পার্বত্য চুক্তির আলোকে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট স্থানীয় পর্যটন খাত জেলার পরিষদের কাছে হস্তান্তর করে সরকার। দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় ১১ বছর পর পর্যটন সংক্রান্ত প্রথম কোনো নির্দেশনা জারি করলো প্রতিষ্ঠাটি।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স